কুরবানির ঈদ কবে ২০২৫ - কোরবানি করা ফরজ নাকি ওয়াজিব।

আসছে সামনে আমাদের কোরবানি ঈদ বা ঈদুল আজহা। ঈদ মানে খুশি, আর ঈদ মানেই আনন্দ এইজন্য আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের কুরবানির ঈদ কবে ২০২৫ - কোরবানি করা ফরজ নাকি ওয়াজিব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
কুরবানির ঈদ কবে ২০২৫
এছাড়াও আমরা আজকের এই আর্টিকেলে কোরবানি ঈদ সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরব। এই জন্য আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন।

কুরবানির ঈদ কবে ২০২৫

২০২৫ সালে কোরবানির ঈদ কবে এই নিয়ে আমাদের মুসলিম বিশ্বের মধ্যে আগ্রহ এবং ঈদের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটি জানিয়েছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে অর্থাৎ সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হতে পারে ৬ জুন, ২০২৫ তারিখে।

তবে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশ সরকারের ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদুল আজহার ছুটি ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে ১০ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। চাঁদ দেখার ভিত্তিতে চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণার জন্য জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা হবে।

তবে যেহেতু সম্প্রতি আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটি জানিয়েছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল আজহা 6 জন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেহেতু আমাদের বাংলাদেশ তার একদিন পর অর্থাৎ ৭ই জুন, ২০২৫ তারিখে উদযাপিত হতে পারে।

কোরবানির ঈদ নিয়ে কিছু কথা

ঈদুল আযহা, ঈদুল আজহা বা ঈদুল আদহা আমরা এই তিনটি নাম বলে থাকি কোরবানির ঈদকে। আর এর অর্থ হলো ত্যাগের উৎসব। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুইটি ধর্মীয় উৎসব রয়েছে তার মধ্যে এটি হলো দ্বিতীয় এবং এই উৎসবটিকে আমরা কোরবানির ঈদও বলে থাকি।

এই ধর্মীয় উৎসবটি হজের দিনে পালিত হয় এবং মূলত আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, আত্মত্যাগ এবং সহানুভূতির প্রতীক হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে। কোরবানির ঈদ আমাদের শিক্ষা দিয়ে থাকে আত্মত্যাগের, ধৈর্যের এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের। হযরত ইব্রাহিম (আ.) যখন আল্লাহর নির্দেশে তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.) কে কোরবানি দিতে প্রস্তুত হন।

তখন আল্লাহ তার আনুগত্যের পরীক্ষা নিয়ে তাকে একটি দুম্বা কোরবানি দিতে বলেন। আর সেই ঘটনার পর থেকেই মুসলিমরা প্রতিবছর কোরবানি দিয়ে থাকে। কোরবানি ঈদের কিছু মূল শিক্ষা রয়েছে সেগুলো হলোঃ
  • আত্মত্যাগ: নিজের প্রিয় জিনিস ত্যাগ করার মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ এই ঈদের মূল উদ্দেশ্য।
  • সহানুভূতি: কোরবানির মাংস গরীব-দুঃখীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া।
  • ভ্রাতৃত্ববোধ: সবাই মিলে মিলেমিশে আনন্দ উদযাপন করা এবং একে অপরের পাশে থাকা।
এছাড়াও এই ঈদে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে সেগুলো হলো নামাজ আদায় করা, কোরবানি করা, আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশী ও দরিদ্রের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করা, এবং শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা।

কোরবানি করা ফরজ নাকি ওয়াজিব

কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে পালন করা হয়। আর এটি হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও হযরত ইসমাইল (আ.) এর ত্যাগের স্মৃতি বহন করে। কোরবানি করা আমাদের জন্য ফরজ নয়, অধিকাংশ ফিকহবিদদের মতে এটি ওয়াজিব।
কোরবানি করা ফরজ নাকি ওয়াজিব
হানাফী মাযহাবদের মতে, কোরবানি করা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণকারী ব্যক্তির জন্য ওয়াজিব। সে সকল শর্তগুলো হলো:
  • প্রথমত তাকে মুসলিম হতে হবে।
  • এরপর তার প্রাপ্তবয়স্ক এবং সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ হতে হবে।
  • তাকে মুকিম হতে হবে অর্থাৎ মুসাফির না।
  • এছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটি হচ্ছে কোন মুকিম ব্যক্তির কাছে যদি নেশাপ পরিমাণ সম্পদ থেকে থাকে অর্থাৎ পানাহার, বাসস্থান, উপার্জনের উপকরণ ইত্যাদি ছাড়া যদি অতিরিক্ত পরিমাণে সম্পদ থাকে যা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্যের মূল্যের সমপরিমাণ হয় তাহলে সে ব্যক্তির অপর কোরবানী করা ওয়াজিব।
এ সকল শর্তগুলো পূরণকারী ব্যক্তি যদি কোরবানি না করে তাহলে সেই ব্যক্তি গুনাগার হবেন। তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তা ত্যাগ করে, তবে তাকে এর জন্য তওবা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে কোরবানি করা উচিত।

অন্যান্য মাযহাব যেমন মালিকি, শাফেঈ ও হাম্বলি মতে কোরবানি করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা অর্থাৎ এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত যা রাসূল (সা.) নিজে এবং সাহাবাগণ কখনোই ছাড়েননি। রাসূল (সা.) কোরবানি সম্পর্কে বলেন “যে ব্যক্তি কোরবানির সামর্থ্য রাখে কিন্তু কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।” (ইবনে মাজাহ)।

আমরা এই হাদীস থেকে বলতে পারি যে কোরবানি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি। ইবাদত এটি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, ত্যাগের অনুশীলন এবং গরিবদের মাঝে সহানুভূতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

কি পরিমান সম্পদ থাকলে কুরবানি দিতে হবে

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা প্রতি বছর ঈদুল আযহার সময় পালন করা হয়ে থাকে। কুরবানী ওয়াজিব হয় সেই মুসলমানের উপর যার নিসব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। হিসাব বলতে বোঝায় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ, যা একজন মানুষের মৌলিক প্রয়োজন মিটিয়ে অতিরিক্ত থাকে এবং সেগুলো হেফাজতে থাকে।

এখন কি পরিমান সম্পদ থাকলে আপনার জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব সেই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা তুলে ধরব। বর্তমানে হিসাবে শোনা বা রুপার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। যদি কোন ব্যক্তির কাছে ঈদুল আজহার দিন এবং রাত পর্যন্ত সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি রূপার সমপরিমাণ টাকা, স্বর্ণ, রূপ, বাণিজ্যিক পণ্য, জমি বা অন্যান্য সম্পদ থাকে তাহলে তার ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব হয়।

আর এ সকল সম্পদ অবশ্যই তার মৌলিক চাহিদা পূরণ ও ঋণ পরিশোধের পর অতিরিক্ত হতে হবে। এই শর্ত পূর্ণ হলে, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ এবং মুকিম মুসলমানদের ওপর কুরবানী করা ফরজ না হলেও ওয়াজিব হয়। আর এটি ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ, আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা হয়ে থাকে।

কোরবানির শর্ত সমূহ

ইসলামে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা আরবি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে আদায় করা হয়। ঈদুল আযহার দিন থেকে কোরবানির দিনগুলোতে নির্দিষ্ট প্রকারের গৃহপালিত পশু আল্লাহর সন্তুষ্টি অনকর্য অর্জনের জন্য জবেহ করাকে কোরবানি বলা হয়। 

তবে এই কোরবানি সহীহ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে যেগুলো আমাদের অবশ্যই জানা এবং মানা উচিত। নিচে সে সকল শর্তগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ
  • কোরবানি দেওয়ার যোগ্যতা: কোরবানি সেই ব্যক্তির ওপর ওয়াজিব এবং সেই ব্যক্তি আদায় করবে যে হবে মুসলিম, প্রাপ্তবয়স্ক, মুকিম এবং নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। হিসাব পরিমাণ বলতে যার কাছে তার মৌলিক চাহিদা ঋণ শোধ করার পর অতিরিক্ত প্রায় ৬১২.৩৬ গ্রাম রূপা বা তার মূল্যের সম্পদ রয়েছে।
  • কোরবানি দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়: কোরবানির সময় হল ঈদের নামাজের পর থেকে শুরু করে 12ই জিলহজ্জ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। অর্থাৎ ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করলে অথবা ১২ই জিলহজূর সূর্যাস্ত হওয়ার পর কোরবানি করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
  • কোরবানির পশুর ধরন ও বয়স: কোরবানির জন্য আপনারা গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া বা উট কোরবানি দেওয়া ইসলামের মতে জায়েজ রয়েছে। আর এর জন্য তাদের একটি নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে সেই বয়সগুলো সম্পন্ন হলে আপনার কোরবানি জায়েজ হবে। গরু এবং মহিষ কমপক্ষে দুই বছরের উপরে হতে হবে, ছাগল ও ভেড়া কমপক্ষে এক বছর বয়স হতে হবে, উট কমপক্ষে পাঁচ বছর বয়স হওয়া লাগবে। এছাড়াও এ সকল পশুগুলো অবশ্যই সুস্থ দৃষ্টি সম্পন্ন এবং অঙ্গহানিহীন হতে হবে।
  • কোরবানিতে ভাগা দেওয়ার নিয়ম: কোরবানির গরু ও উঠে সর্বোচ্চ সাতজন অংশগ্রহণ নিতে পারবেন। হাদিসে এসেছে যে, ‘আমরা হুদাইবিয়াতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। তখন আমরা উট ও গরু দ্বারা সাত জনের পক্ষ থেকে কুরবানি দিয়েছি।’
  • নিয়ত ও ইখলাস: কোরবানি কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই করতে হবে। লোক দেখানো বা অহংকারের উদ্দেশ্য থাকলে তা কক্ষনোই গ্রহণযোগ্য হবে না।
এই শর্তগুলো মেনে যদি আপনি কোরবানি করেন তাহলে আপনার ইবাদতটি সহীহ হবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন।

ঈদুল আজহার গুরুত্ব ও ফজিলত

মুসলিম ধর্মালম্বীদের দুটি সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব রয়েছে তার মধ্যে ঈদুল আজহা হলো দ্বিতীয় ধর্মীয় বড় উৎসব। এটি “কুরবানির ঈদ” নামেও পরিচিত। আর এই ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা হলো আত্মত্যাগ, আল্লাহর প্রতি নিষ্ঠা এবং একনিষ্ঠ আনুগত্য।
ঈদুল আজহার গুরুত্ব ও ফজিলত
এই দিনটির মূল প্রেক্ষাপট হচ্ছে, হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর জীবনের সেই মহান ঘটনা যেখানে তিনি আল্লাহর নির্দেশে নিজের প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কুরবানি করতে উদ্যত হন। আল্লাহ তার এই নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগের পরীক্ষায় সন্তুষ্ট হয়ে হযরত ইসমাইল (আঃ)-এর পরিবর্তে একটি পশু কুরবানি করার আদেশ দেন।

আর এর মাধ্যমেই কুরবানীর বিধান চালু হয়, যা প্রতি বছর মুসলমানরা পালন করে থাকে। ঈদুল আজহার প্রধান ফজিলতের মধ্যে অন্যতম হলো কুরবানি। কুরবানী শুধু পশু জবেহ করা নয়, বরং এর মধ্যে একজন মুমিন ব্যক্তির আল্লাহর প্রতি তার ভালোবাসা ও আনুগত্য প্রকাশ পায়।

কোরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করে আত্মীয়-স্বজন-দরিদ্র ও নিজের পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়, যা সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহানুভূতির পরিবেশ সৃষ্টি করে। এই কুরবানী ঈদের দিন মুসলমানরা সকলে একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এরপর নামাজ পড়ে এসে কুরবানী করা শুরু হয়। ঈদের নামাজ ও কুরবানীর মধ্য দিয়ে মানুষ আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এবং তার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে। কুরবানী আল্লাহর নিকট লাভের এক মহান উপায়।

কোরআন শরীফে বলা হয়েছে যে, “আল্লাহর নিকট পশুর গোশত কিংবা রক্ত পৌঁছায় না, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।” (সূরা হজ্জ: ৩৭) পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, ঈদুল আযহা কেবল একটি উৎসব নয় এটি একটি শিক্ষা।

যা আমাদের আত্মত্যাগ, ধৈর্য, আল্লাহর আদেশের প্রতি আনুগত্য এবং মানুষের কল্যাণের নিজেকে উৎসর্গ করার বার্তা বহন করে। আর এই শিক্ষা মেনে চলাই ঈদুল আজহার প্রকৃত ফজিলত ও তাৎপর্য।

শেষ মন্তব্য

সম্মানিত পাঠক, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা কুরবানির ঈদ কবে ২০২৫ - কোরবানি করা ফরজ নাকি ওয়াজিব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও আমরা আজকের আর্টিকেলে কোরবানির ঈদ সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। 

যেগুলো আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এই ধরনের আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন এবং আমাদের সাপোর্ট করুন। কারণ আমরা এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাংলা আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url